রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা নিউজ: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে জামিন পেলেও খালেদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় শোন অ্যারেস্ট থাকায় আপাতত তিনি কারাবন্দি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখার আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বুধবার খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখার রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ার ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত খালেদা জিয়া জামিন বহাল রেখেছেন। তবে তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় শোন অ্যারেস্ট থাকায় আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, তবে আমরা আশা করছি শিগগিরই তিনি কারামুক্তি পাবেন। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাওয়ার পর আশা করি নিম্ন আদালতেও তিনি জামিন পাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘কুমিল্লায় ৩টি মামলা, ঢাকায় ২টি মামলা এবং নড়াইলে একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এসব মামলা ভিত্তিহীন। শুধু তাকে আটকে রাখার জন্যই এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ ব্যাপারে বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) দায়ের করা আপিলটি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছেন। এ আপিল শুনানির ব্যাপারে এখন আমরা প্রস্তুতি নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজনের বিরুদ্ধে যদি ৫টি মামলা থাকে, একটি মামলায় জামিন পেলেও অন্যান্য মামলায় জামিন না পাওয়া পর্যন্ত তাকে জেলেই থাকতে হবে।’
গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৪ মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।
এর পর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরবর্তি দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেন।
এর আগে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।